এইমাত্র
  • শাহীন চাকলাদারের ৫৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ, দুদকের মামলা
  • মানুষের কল্যাণে কাজ করুন, উপদেষ্টাদের রিজভী
  • বহুল প্রতিক্ষীত দেশের সর্ববৃহৎ যমুনা রেল সেতু উদ্বোধন আগামীকাল
  • বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে রাত ১১টা-সকাল ৭টা সেচ কার্যক্রম চালানোর অনুরোধ
  • এবার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে স্ট্যাচু অব লিবার্টি ফেরত চাইলেন ফরাসি এমপি
  • সাংবাদিককে ফাঁসানোর চেষ্টাকারী মাদকের সেই দিদারুলকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’
  • কাঠগড়ায় কাঁদার পর হাসতে হাসতে হাজতখানায় যান সাবেক মন্ত্রী শাজাহান
  • রমজানের প্রথম ১০ দিনে ৩৩ ভিক্ষুককে গ্রেফতার করেছে দুবাই পুলিশ
  • ময়মনসিংহে ছদ্মবেশে থাকা নারীসহ আরাকান আরসার ৪ সদস্য আটক
  • এপ্রিলে শুরু হতে যাচ্ছে পুলিশ সপ্তাহ, গুরুত্ব পাবে নাগরিক মতামত
  • আজ সোমবার, ৩ চৈত্র, ১৪৩১ | ১৭ মার্চ, ২০২৫

    পরিচয়ে

    র‍্যাব পরিচয়ে চাঁদাবাজি, ভুয়া র‍্যাব আটক

    টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ভুয়া র‌্যাব পরিচয়ে চাঁদা নিতে এসে জনতার হাতে আটক হয়েছেন হানিফ খান (৪৫) নামে এক সাবেক আনসার সদস্য।


    রবিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার তরফপুর ইউনিয়নের চকবাজার এলাকায় র‌্যাব পরিচয়ে চাঁদা দাবি করলে জনতা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।


    আটক হানিফ খান টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার হাবলা উত্তর পাড়া গ্রামের বক্তার খানের ছেলে।


    পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সাবেক আনসার সদস্য হানিফ খান মির্জাপুর উপজেলার তরফপুর চকবাজার এলাকায় একটি গুম ও হত্যা মামলার তদন্ত করতে যান। এক পর্যায়ে তিনি কৌশলে মামলার আসামির নিকট চাঁদা দাবি করেন। এ সময় তিনি ত্রিশ হাজার টাকায় হত্যা মামলা নিষ্পত্তি করে দেওয়ার প্রতিশ্রতি দেন। সন্দেহ হলে স্থানীয়রা তার পরিচয় জানতে চায়। প্রথমে তিনি টাঙ্গাইল র‌্যাব ১৪ এর সদস্য বলে দাবি করেন। জেরার মুখে তিনি সাবেক আনসার সদস্য বলে স্বীকার করেন। এ সময় স্থানীয়রা তার সঙ্গে থাকা সাবেক আনসার সদস্যের পরিচয়পত্র দেখে পরিচয় নিশ্চত হোন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে জনতা তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন। 


    এ বিষয়ে তরফপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাঈদ আনোয়ার বলেন, কয়েকদিন পূর্বে আটককৃত ওই সাবেক আনসার সদস্য র‌্যাব পরিচয় দিয়ে মুঠোফোনে স্থানীয় কয়েকজনের নিকট চাঁদা দাবি করেন।


    এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ওসি মোশারফ হোসেন বলেন, জনতার হাতে আটক র‌্যাব পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


    এনআই/আরআই


    বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ, আটক ৪


    রাজশাহীর বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাঁদাবাজির অভিযোগে ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীরা তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে উপস্থিত সবার সামনে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে এবং পুলিশের হাতে তুলে দেন।



    জানা গেছে, অভিযুক্তরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী জেলা কমিটির পরিচয় দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে চাঁদা দাবি করছিলেন। এদের মধ্যে রয়েছেন সংগঠনটির মুখ্য সংগঠক সোহাগ সরদার, যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ বারি এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয়ক মিসকাতুল মিশু।



    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানান, তারা বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে অর্থ দাবি করছিলেন। সন্দেহজনক আচরণের কারণে তাদের আটক করা হয় এবং পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।



    এ বিষয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি এবং পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


    এসআর

    বগুড়ায় র‍্যাব পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় চাকরিচ্যুত ২ সেনাসদস্যসহ গ্রেফতার ৩

    র‍্যাব পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় দুইজন চাকুরিচ্যুত সেনাসদস্যসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-১২, বগুড়া। এ সময়ে প্রতারকদের কাছ থেকে ভুয়া আইডি কার্ড, চারটি মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।



    শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে বগুড়া জেলা শিক্ষা অফিসের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) তাদের আদালতে মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বগুড়া গাবতলীর আরমান আলী (৩৮), একই এলাকার মোয়াজ্জেম হোসেন (৪৫) এবং ঝালকাঠির নলছিটি এলাকার মামুন হোসেন তালুকদার (৩৭)। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার এম আবুল হাশেম সবুজ।



    র‍্যাব-১২ সূত্রে জানা যায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি মো. রঞ্জু মিয়া নামে এক ব্যক্তির কাছে ফোন করে প্রতারকচক্র নিজেদের র‍্যাব সদস্য পরিচয় দিয়ে এক লাখ টাকা দাবি করে। তারা ভয় দেখায় যে, র‍্যাব অফিসে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে এবং তা থেকে বাঁচতে হলে টাকা দিতে হবে। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় ভুক্তভোগী র‍্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়ায় অভিযোগ দায়ের করেন।



    অভিযোগের ভিত্তিতে র‍্যাব ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং কৌশলে প্রতারকদের ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টায় র‍্যাব অফিসের সামনে আসতে বলে। পরে সকাল ১০টার দিকে বগুড়া জেলা শিক্ষা অফিসের সামনে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়।


    তল্লাশি চালিয়ে প্রতারকদের কাছ থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি ভুয়া অস্থায়ী পরিচয়পত্র, ডিজিএফআই-এর ভুয়া আইডি কার্ড, চারটি মোবাইল ফোন, নগদ ৩ হাজার ২০০ টাকা এবং কালো রঙের একটি রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।



    র‍্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার এম আবুল হাশেম সবুজ বলেন,  গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে প্রথম দুইজন চাকুরিচ্যুত সেনাসদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে চাঁদাবাজি ও প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।



    বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, বগুড়ায় ভুয়া র‍্যাব পরিচয়ে চাঁদাবাজির ঘটনায় চাকুরিচ্যুত দুই সেনাসদস্যসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে র‍্যাব-১২ সদর থানায় হস্তান্তর করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে আজ শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।



    এসআর

    শেরপুরে ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণাকারীর সহযোগী গ্রেপ্তার

    শেরপুরের শ্রীবরদীতে ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে প্রতারনা করে বিবাহ, অর্থ আত্মসাৎ ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদানকারীর সহযোগী মো. রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তাকে শেরপুর পৌর শহরের সজবরখিলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত রফিকুল শ্রবিরদী উপজেলার কুরুয়া এলাকার মো. আক্কাস আলীর ছেলে।

    র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, ফেইসবুকের সূত্র ধরে জেলা সদরের চান্দের নগর (মুসলিম পাড়া) এলাকার মোঃ আব্বাস আলীর ছেলে মিলন সরকার ওরফে লিটনের সাথে কুরুয়া এলাকার মো. আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে মোছা. জোসনা পারভীনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরই প্রেক্ষিতে গত বছরের ২০ মে মো. মিলন সরকার ওরফে লিটন পুলিশের এএসআই পরিচয় দিয়ে ২ লক্ষ টাকা কাবিনে মোছা. জোসনা পারভীনের সাথে বিবাহের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। পরবর্তীতে পুলিশের ডিউটির কথা বলে মোছা. জোসনা পারভীনকে তার বাবার বাড়ীতে রেখে চলে যায়। 

    এর কিছুদিন পর লিটন এসআই পদে পদোন্নতির কথা বলে তার স্ত্রীর নিকট ৬ লক্ষ টাকা দাবি করে। স্বামীর ভবিষ্যতের কথা ভেবে জোসনা পারভিন জমিজমা এবং স্বর্ণালংকার বন্ধক রেখে লিটনকে বিভিন্ন সময়ে ৯ লক্ষ টাকা মো. রফিকুল ইসলামের সন্মুখে লিটনকে প্রদান করে। ওই টাকা পাওয়ার পর মো. মিলন সরকার ওরফে লিটন তার স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে জোসনা পারভিন তার শ্বশুর বাড়ীতে গেলে মো. রফিকুল ইসলাম জোছনা পারভিনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ খুন করার হুমকি দিয়ে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিলে মোছা. জোসনা পারভীন বাদী হয়ে শ্রবিরদী থানায় প্রতারনার মামলা দায়ের করে। এরপর থেকেই গ্রেপ্তার এড়াতে তারা আত্মগোপনে ছিল রফিকুল।

    পরে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মো. আবরার ফয়সাল সাদীর নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল শনিবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে শেরপুর পৌর শহরের সজবরখিলা পাইওনিয়ার একাডেমী স্কুলের সামনে থেকে মো. রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। পরে গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে শ্রীবরদী থানায় মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়।

    এমআর

    নানা পরিচয়ে প্রতারণা, কক্সবাজারের আলোচিত মুন্না গ্রেপ্তার

    কক্সবাজারে এক দুর্ধর্ষ প্রতারকের আভির্ভাব ঘটেছে। তার ভয়ানক প্রতারণা থেকে রেহাই পাচ্ছে না কেউ। স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী, পর্যটক, মান্যগণ্য ব্যাক্তি থেকে শুরু করে সমাজের বিত্তশালী পরিবার কিংবা দিনমজুর সবাই তার একের পর এক শিকারে পরিণত হচ্ছে। 

    সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, জমি-ফ্লাট দখল, মাদক পাচার, র‍্যাবের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতারণাসহ এমন কোনো দুঃসাহসী অপকর্ম নেই যা সে করেনি ইতিমধ্যে। এমনকি নিজেকে একজন কথিত সম্পাদকের বিশ্বস্ত তল্পিবাহক হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে এই প্রতারক। চাঁদাবাজি করতে গিয়ে কারাভোগ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাংবাদিকের নগ্ন ছবি ছড়িয়ে গ্রেফতারসহ তার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জমা পড়লেও সেসব ব্যাপারে একেবারেই বেপরোয়া এই দুর্ধর্ষ প্রতারক। 

    বহু মাত্রিক অপকর্ম করেও আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে কীভাবে সেগুলোতে রেহায় পেতে হয় সেটাও সে ভালো মতোই রপ্ত করেছে। আর এভাবে দিনে দিনে দুর্ধর্ষ হয়ে উঠছে সে। তার শিকারের থলিতে একের পর এক যুক্ত হচ্ছে ভুক্তভোগীর নাম। দীর্ঘ হচ্ছে আক্রান্তদের তালিকা।

    এতক্ষণ যার কথা বলা হচ্ছে তিনি হলেন- কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়ার দক্ষিণ বড়বিল এলাকার আবদুস সালাম ছেলে মনছুর আলম মুন্না (৩০)। সে পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের পূর্ব ঘোনার পাড়া সেলিম ড্রাইভারের বাড়ীতে ভাড়া থেকে সাংবাদিকসহ র‌্যাব এবং বিভিন্ন সংস্থার সোর্স পরিচয় দিয়ে চাঁদা আদায় ও মাদক ব্যবসা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।

    স্থানীয় সাংবাদিকদের অভিযোগ, সবার কাছে তিনি পরিচিত সাংবাদিক হিসেবে। সবাই যেন বিশ্বাস করে এজন্য বিভিন্ন গণমাধ্যমের নিউজ কপি করে নিয়মিত ফেসবুকে পোষ্ট দেন! কখনো গলায় কার্ড ঝুলিয়ে ছবি তুলেছেন সাংবাদিক প্রমাণে! আবার সাধারণ মানুষের কাছে তিনি পরিচিত ক্ষমতাবান হিসেবে! কেউবা আবার চেনেন র‍্যাব পুলিশের সোর্স হিসেবেও! কিন্তু আসলে তিনি একজন মহাপ্রতারক। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতেই তার এই বহুরূপী সাজ!

    র‍্যাবের সোর্স পরিচয়ে ব্যবসায়ীকে ক্রসফায়ার ও মাদক মামলাসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ১ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে কক্সবাজার শহরের লালদিঘীর পাড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৫।

    র‍্যাব জানায়, কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের পশ্চিম লারপাড়া এলাকার জনৈক নুরুল ইসলাম র‌্যাব-১৫ এর কাছে অভিযোগ দায়ের করেন যে, জমি-জমা সংক্রান্তে দীর্ঘদিন যাবত একই এলাকার সেলিমের সঙ্গে বিরোধের জেরে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় অভিযোগ ও কক্সবাজার কোর্টে মামলা হয়। এ বিষয়টি সম্পর্কে জনৈক মনছুর আলম মুন্না অবগত ছিলেন। এই সুযোগে তার সাথে কক্সবাজার র‌্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে সু-সম্পর্ক রয়েছে বলে জানিয়ে চাঁদা দাবী করেন। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে জমি-জমা সংক্রান্তে দায়েরকৃত মামলায় র‌্যাবকে দিয়ে গ্রেফতারসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন।

    অভিযোগকারী নুরুল ইসলাম একপর্যায়ে এক লক্ষ টাকা দিতে সম্মতি জ্ঞাপন এবং গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর নগদ ৪০ হাজার টাকা ও গত ৩১ জানুয়ারি ৬০ হাজার টাকা প্রদান করেন। পরবর্তীতে গত ১৬ মার্চ পুনরায় এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন। এমতাবস্থায়, বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে সে জানতে পারে পূর্বে প্রদত্ত এক লক্ষ টাকা উক্ত মনছুর আলম মুন্না কোন র‌্যাব সদস্য কিংবা অন্য কোন ব্যক্তিকে প্রদান করেনি। বরং সে সাংবাদিকসহ র‌্যাব এবং বিভিন্ন সংস্থার সোর্স পরিচয় দিয়ে চাঁদা আদায় করেছে।

    এ অভিযোগের ভিত্তিতে ৩ এপ্রিল বিকাল ৪ টার সময় র‌্যাব-১৫, সিপিএসসি ক্যাম্পের আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিতিত্তে কক্সবাজার শহরের লালদিঘীর পাড় সোনালী ব্যাংকের পাশের গলি থেকে মনছুর আলম মুন্না’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

    র‌্যাব-১৫ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মনছুর আলম মুন্না স্বীকার করেন যে, তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ নিজেকে সাংবাদিকসহ র‌্যাব এবং বিভিন্ন সংস্থার সোর্স পরিচয় দিয়ে আসছিলেন। এ সকল পরিচয় দিয়ে তিনি বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের নিকট হতে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করতেন। তিনি ভিকটিমদের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করতেন ও হুমকি দিতেন এবং তার চাহিদা মোতাবেক চাঁদা প্রদানে বাধ্য করতেন।

    কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানিয়েছেন, র‌্যাব-১৫ কতৃক গ্রেফতার হওয়া মনছুর আলম মুন্নাকে থানায় সোপর্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হলে, আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতারক মনছুর আলম মুন্না ইতোপূর্বেও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে র‌্যাব ও পুলিশের হাতে একাধিক বার গ্রেফতারও হয়েছিলো। অল্প কিছুদিন কারাবাস করে আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে আসে। এরপর আবারও শুরু করে সেই পুরোনো কৃত্তিকলাপ। প্রভাবশালীদের ইন্ধনে যখন যেভাবে ব্যবহার হওয়ার হয়ে আসছে এই দুর্ধর্ষ প্রতারক মনছুর আলম মুন্না। সাংবাদিক ও প্রশাসনের সাথে পেরে উঠা এই প্রতারকের সাহস এখন আকাশচুম্বি। প্রশাসন যেখানে নস্যি সাধারণ মানুষ তার কাছে কিছুই নয়। 

    এমআর

    ডিবি পরিচয়ে মহাসড়কে গাড়ি থামিয়ে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই

    ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ফিল্মি কায়দায় বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কে ব্যবসায়ীর পিক‌আপ থামিয়ে ৫ লাখ ২৩ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের দুর্ধর্ষ ঘটনা ঘটেছে।

    মঙ্গলবার (৯ই জানুয়ারি) বেলা আড়াইটায় বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের গারাদহ ইউনিয়নের মশিপুরে এই ঘটনা ঘটে। ছিনতাইয়ের শিকার ব্যবসায়ী প্রান্ত রায় (২৬) নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা পৌর শহরের বাসাউড়া গ্রামের দিলীপ রায়ের ছেলে। স্থানীয় মধ্যবাজারের ভাইভাই মার্কেটে প্রান্ত শান্ত বস্ত্রালয় নামে তাদের কাপড়ের দোকান রয়েছে।

    ছিনতাইয়ের শিকার ব্যবসায়ী প্রান্ত রায় বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৭টায় ছোটভাই শান্তকে নিয়ে পিক‌আপ যোগে শাহজাদপুর কাপড়ের হাটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেই। পথিমধ্যে বগুড়া নগরবাড়ি মহাসড়কের শাহজাদপুরের মশিপুরে এম‌এসবি ব্রিকস নামের ইটভাটার সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে ২জন মোটরসাইকেল আরোহী পিক‌আপ থামাতে বলে।

    কমলা রঙের হরনেট মোটরসাইকেল থেকে নেমে উক্ত ব্যক্তিদ্বয় নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে পিক‌আপে তল্লাশি চালাতে থাকে। এসময় পিকআপে রাখা লুঙ্গি দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ৫ লাখ ২৩ হাজার টাকা তারা দেখতে পেয়ে ছিনিয়ে নেয়। তাদের বাঁধা দিলে একজন ছুরি বের করে ছোটভাই শান্তকে হত্যার ভয় দেখিয়ে মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়।

    খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল আজিজের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান, থানার অফিসার ইনচার্জ খায়রুল বাশার, পরিদর্শক তদন্ত মোঃ শাখাওয়াত হোসেন ও পরিদর্শক অপারেশন আবু সাঈদ।

    এই বিষয়ে শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খায়রুল বাশার বলেন, ছিনতাইয়ের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে থানার একটি দল পাঠানো হয়। পরে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।

    তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত করে ছিনতাইয়ের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে লুন্ঠিত টাকা উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।

    এমআর

    ডিবি পরিচয়ে র‍্যাবের বাড়িতে ডাকাতি: মূলহোতা গ্রেফতার

    মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা মাধবপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বাঘবাড়ি মণিপুরি পাড়ায় ডিবি পরিচয়ে দিয়ে এক র‍্যাব সদস্যের বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়। 

    গত সোমবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পশ্চিম বাঘবাড়ি মণিপুরি পাড়ার র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটলিয়ান (র‍্যাব) সদস্য সুনীল সিংহের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে ভুয়া পরিচয় দিয়ে ডাকাতি করা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের নেতা কালন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব ৯।

    রোববার (১২ নভেম্বর) বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গ্রেফতারের এ তথ্য জানায় র‍্যাব। গ্রেফতার ডাকাত দলের নেতা কালন মিয়া (৪৩) কমলগঞ্জের শ্রীপুর গ্রামের মৃত গণি মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব-৯। 

    বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব জানায়, গত গত সোমবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পশ্চিম বাঘবাড়ি মণিপুরি পাড়ার র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটলিয়ান (র‍্যাব) সদস্য সুনীল সিংহের বাড়িতে মুখোশধারী চার ব্যক্তি ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় তার বৃদ্ধ পিতা চন্দ্র সিংহ, (৭৫) মা কৃষ্ণকুমারী সিনহা (৫৫), চাচী রাজকুমারী সিনহা (৫০) কে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত, পা বেঁধে ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার, মোবাইল সেটসহ নগদ অর্থ লুঠ করে নিয়ে যায়। আসামীরা চলে গেলে ভুক্তভোগীদের চিৎকার, চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশিরা এসে তাদের উদ্ধার করেন। 

    এ ঘটনার পর গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। র‍্যাব এ ঘটনা ঘটার পর থেকে এর ছায়া তদন্ত শুরু করে। পাশাপাশি গোয়েন্দা তৎপরতাও বৃদ্ধি করে র‍্যাব। তদন্তের এক পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্যেরভিত্তিতে ডাকাতদের অবস্থান সনাক্ত করতে সক্ষম হয় র‍্যাব। 

    প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-৯, শ্রীমঙ্গলের একটি আভিযানিক দল শনিবার (১১ নভেম্বর) রাতে মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থানার আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর এ ডাকাতি মামলার মূলহোতা কালন মিয়া (৪৩)-কে গ্রেফতার করে। 

    পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেফতারকৃত গণি মিয়াকে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে র‍্যাব। 

    এমআর

    মন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয়ে কোটি টাকা আত্মসাতকারী সেই নারী আটক

    লালমনিরহাট-২ আসনের এমপি সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের আত্মীয়ের পরিচয় দিয়ে সরকারি বিভিন্ন ভাতা করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ভুয়া প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আকৃষ্ট করে গ্রামের দুই শতাধিক নারীর কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা নিয়ে আত্মগোপনে থাকা নারী নাসিমা আকতার স্বপ্নাকে (৩৪) আটক করেছে থানা পুলিশ। 

    বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়। আটক নারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের টাওয়ার পাড়া গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে। এর আগে আত্মসাত করা অর্থ ফেরতের দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে মানববন্ধন শেষে ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি দেয় ভুক্তভোগী পরিবার। 

    আদিতমারী থানার ওসি মোজাম্মেল হক জানান, নানা প্রলোভনে গ্রামের নারীদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণের ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত নারীকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

    উল্লেখ্য, অভিযুক্ত নাসিমা আক্তার স্বপ্নার মা কোহিনূর বেগমের নামে রয়েছে সমাজসেবা থেকে রেজিষ্ট্রেশনপ্রাপ্ত 'দুঃস্থ মহিলা কল্যাণ সমিতি' নামে একটি এনজিও।  ওই এনজিওর ব্যানারে মেয়ে স্বপ্না নেয় কৌশলের আশ্রয়। প্রথমে সে গ্রামের নারীদের নানা ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে আকৃষ্ট করে। পরে এনজিও থেকে গরু, সমাজসেবা থেকে এককালীন অনুদান, শিশু ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ সরকারি নানা সুযোগ সুবিধার প্রলোভন দিয়ে গ্রামের সহজ সরল নারীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া শুরু করে। 

    এসময় সে নিজেকে লালমনিরহাট ২ আসনের এমপি সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের পরিচয় দেয়। সে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করে প্রত্যেক নারীর কাছ থেকে ১৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত গ্রহণ করে। এভাবে এক পর্যায়ে গ্রামের দুই শতাধিক নারীর কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাত করে কৌশলী স্বপ্না। পরবর্তীতে কোন সুযোগ সুবিধা দিতে না পারলে এলাকার নারীরা স্বপ্নার ছলচাতুরী বুঝতে পারে। পরে তারা টাকা ফেরত চাইলে নানা টালবাহানা করতে থাকে স্বপ্না।একপর্যায়ে তাদের নানা ভয়ভীতি দেখায় স্বপ্না। 

    উপায়ান্তর না পেয়ে ভুক্তভোগীদের অনেকে থানায় অভিযোগ করেন। অনেকে আবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু এতেও কোন কাজ না হওয়ায় রাস্তায় নেমে এসে মানববন্ধন করে ভুক্তভোগী নারীরা। 


    এমআর

    সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন মা-ছেলে

    কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবীতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন মা-ছেলে। চোখের সামনে স্বামী থাকলেও স্ত্রীসহ এক ছেলে সন্তানের খোঁজ খবর নেয়াতো দুরের কথা টানা ২১ বছর অতিবাহিত হলেও স্ত্রী-সন্তানের স্বীকৃতিটুকুও দেননি গণেশ চন্দ্র বর্মন। 


    আইনের আশ্রয় না নিলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন স্ত্রী সাবেত্রী রানী (৪৩) ও ছেলে গৌতম চন্দ্র বর্মন (২১)। টানা ২১ বছর স্ত্রী ও একমাত্র ছেলে গৌতমের পিতৃ পরিচয়ের জন্য ঢিলেঢালাভাবে দাবী জানিয়ে আসলেও সফল হতে পারেনি মা-ছেলে। 


    সন্তানের পিতৃ পরিচয় দাবি করা নারী সাবেত্রী রানী জানান, তার বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের নাওডাঙ্গা গ্রামে। একই এলাকার মৃত করুনা কান্ত রায়ের ছেলে গনেশ চন্দ্র বর্মন। গনেশ চন্দ্র বিবাহিত হলেও সাবেত্রীর সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ের সাবেত্রী ৫ মাসের অন্তঃসত্তা হওয়ায় স্থানীয় লোকজন দুই জনের সম্মতিক্রমে ২০০২ সালে সাবেত্রীর সাথে গনেশের মালা পড়িয়ে বিয়ে দেন। সাবেত্রীর দাবী গনেশের সাথে বিয়ে হওয়ার ৬ মাস মাস পর ঘরে তুলবেন বলে তাকে প্রতিশ্রতি দেন এবং ৬ মাসের ভরণ পোষনের জন্য ৩ হাজার টাকাও দিয়েছেন। তার স্বামী গনেশ চন্দ্র ৬ মাস তো দুরের কথা টানা ২১-২২ বছরও স্ত্রীর স্বীকৃতি দেননি। সাথে আমার গর্ভে ৫ মাসের ছেলেটার বয়স আজ ২১ বছর। সেই এতিম ছেলেটির পিতৃ পরিচয় টুকুও দিচ্ছেন না। 


    তিনি জানান, দীর্ঘ ২১ বছর ধরে একমাত্র সন্তানকে নিয়ে চরম কষ্ট দুঃখে খেয়ে না খেয়ে বড় করে তোলেন। দীর্ঘ ২১ বছর ধরে একমাত্র সন্তানকে নিয়ে তিনি মানুষের জমিতে বসবাস করছেন। 


    সাবেত্রী বলেন, ২১ বছর ধরে আমার সন্তানের পিতৃ পরিচয় দিতে পারছি না। তাই আমার স্বামী গনেশ আমাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি না দিলেও কোন আপত্তি নেই। কিন্তু আমার একমাত্র সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাবাবাসীর সহযোগীতা চেয়েছেন। এতে কাজ না হলে তিনি তার ছেলের পিতৃ পরিচয় পেতে আইনের আশ্রায় নিবেন বলে জানিয়েছেন সাবেত্রী রানী।  


    পিতৃ পরিচয়হীন ছেলে গৌতম চন্দ্র বর্মন (২১) বলেন, অনেক কষ্টে আমার মা অন্যের জমিতে থেকে আমাকে খেয়ে না খেয়ে বড় করে তোলেন। চোখের সামনে বাবা থাকলেও আমাকে ছেলের স্বীকৃতি দিচ্ছেন না। আমার বড় কষ্ট লাগে। মাসহ এলাকার অনেক লোকের মূখে শুনেছি আজ গনেশ নামের ওই ব্যক্তি আমার বাবা। কিন্তু আমি একদিন বাবার কাছে ছেলের স্বীকৃতি চাইলে তিনি অস্বীকৃতি জানান। সেই দিন অনেক বড় কষ্ট পেয়েছি। তাই আমার মাসহ পিতৃ পরিচয়ের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। 


    গৌতম আরও বলেন, আমিতো কোন অপরাধ করিনি। কেন আমি বাবা থাকার পরেও ছেলের স্বীকৃতি পাবো না। প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নিবো, তিনি সবার সহযোগীতা চেয়েছেন। 


    স্থানীয় মিলন দে জানান, গনেশ ভালবেসে সাবেত্রীকে বিয়ে করেছেন আমি তার কালের সাক্ষী। সাবেত্রী প্রতিবন্ধী ও গরীব বলে স্ত্রীর স্বীকৃতিটুকুও দেয়নি। এটা চরম অন্যায় করেছে গনেশ। সাবেত্রীর গর্ভের সন্তানটির বয়স এখন ২১ বছর। ২১ বছর ধরে গৌতম বাবার ভালবাসা থেকে বঞ্চিত। ছেলেতো কোন দোষ করেনি। গনেশ নিজেই তাকে বিয়ে করেছেন। আমরা চাই সাবেত্রীর ছেলে গৌতমকে যেন গনেশ ছেলের স্বীকৃতি দেয়। 


    গনেশ চন্দ্র বর্মনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ওই সময় আমি একটা ভুল করেছি। সেই ভুলের জন্য সাবেত্রীর সাথে মালা পড়িয়ে স্ত্রীর স্বীকৃতি দেই। তবে তাকে কোন দিন ঘরে তোলাসহ স্বামীর স্বীকৃতি দেইনি এবং সাবেত্রী কোন দিন আমার কাছে স্ত্রী অধিকার নিয়ে আসবে না বলে সেই সময় হালের গরু ও জমি বন্ধক রেখে তার ভরন পোষনের জন্য টাকা দিয়েছি। এখন ২১ বছর পর এসে ছেলের পিতৃ পরিচয়ের দাবী জানালে হবে না। এটা কোনক্রমেই সম্ভব না বলে গনেশ চন্দ্র রায় জানিছেন। 


    নাওডাঙ্গা ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মমিনুল ইসলাম মন্টু জানান, গনেশ চন্দ্র রায় বিবাহিত হলেও সাবেত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে গনেশের সাবেত্রী ৫ মাসের অন্ত:সত্তা হয়। আমি সে সময় ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। অন্ত:সত্বার বিষয়টি জানাজানি হলে উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে হিন্দু রীতি মতে আমিসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে ২০০২ সালে বিয়ে সম্পন্ন হয়। সে সময় গনেশ স্ত্রী সাবেত্রীকে ৬ মাস সময় নিয়ে ঘরে তুলবেন বলে ওই সময় ৬ মাসের ভরণপোষণের জন্য ৩ হাজার টাকাও দেন। পরে সে কোন ক্রমেও ঘরে তোলেননি। বিয়ের ২১-২২ বছর হয়ে গেলেও সাবেত্রী পাচ্ছে না স্ত্রীর স্বীকৃতি ও ছেলে পাচ্ছে না পিতৃ পরিচয়। বিষয়টি বড়ই বেদনাদায়ক ঘটনা। 


    তবে গনেশের উচিত হবে অন্তত ছেলে গৌতমের পিতৃ পরিচয় দেওয়াটা খুবই জরুরি। কারণ ছেলে বড়ই এতিম। টানা ২১ বছর ধরে বাবা থাকার পরেও বাবা শব্দটা ব্যবহার করতে না পাড়াটা ছেলের জন্য যে কত বড় কষ্টের। তাই গৌতম যেন দ্রুত তার বাবার স্বীকৃতি পায় সেই দাবী জানাচ্ছি।


    নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হাছেন আলী জানান, ২১ থেকে ২২ বছর আগের ঘটনা। তবে বিষয়টি দুই পক্ষই আমাকে জানিয়েছে। দেখি দুই পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হবে।  


    সাংবাদিক পরিচয়ে মাদক কারবার, সহযোগীসহ অবশেষে ধরা

    কক্সবাজার শহরের লালদিঘীর পাড় এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে দুই মাদক কারবারীকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। এসময় তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ইয়াবা ও একটি প্রেস কার্ড জব্দ করেছেন।

    গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল এলাকার নুরুল হুদার ছেলে সাংবাদিক পরিচয়ী কক্সবাজার জেলা শ্রমিকলীগের সদস্য কামরুল হুদা সোহেল (৩৮)। ও একই উপজেলার রড়ঘোপ পশ্চিম আমজাখালীর মৃত ছৈয়দ নুরের ছেলে আলী হোসেন (৫০)।

    সোহেল বর্তমানে কক্সবাজার সদরের ঝিলংজার দক্ষিণ ডিক্কুলে বসবাস করছেন। অপরজন ঝিলংজার দক্ষিণ মুহুরী পাড়ার বিসিক শিল্প এলাকায় থাকতেন।

    ডিএনসি বলছে, সোহেল সাংবাদিক এবং শ্রমিকলীগ নেতা পরিচয়ে মাদকের কারবার চালিয়ে আসছিলেন। বুধবার (২৯ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ইয়াবাসহ স্বাধীন বাংলা নামের একটি পত্রিকার প্রেস কার্ড উদ্ধার করা হয়।

    মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর কক্সবাজারের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রুহুল আমিন আসামী জানিয়েছেন, পরিদর্শক জীবন বড়ুয়ার নেতৃত্বে একটি টিম লালদিঘীর পাড় এলাকায় সোনালী ব্যাংকের সামনে এ বিশেষ অভিযান চালায়। এ সময় দুই যুবককে আটক করা হয়। আটকের পর তাদের শরীর তল্লাশি করে ১ হাজার ইয়াবা ও স্বাধীন পত্রিকার কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধির একটি কার্ড উদ্ধার করা হয়।

    রুহুল আমিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা ওই পত্রিকার সাংবাদিক ও সরকার দলীয় নেতা পরিচয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধোঁকা দিয়ে মাদক কারবার চালিয়ে আসার কথা স্বীকার করেছেন। তারা কেউই সাংবাদিক নন। শুধু মাদকের কারবারের জন্য ওই পত্রিকার কার্ড ব্যবহার করতেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ কক্সবাজার জেলার নেতা পরিচয় দিয়ে দাপিয়ে বেড়াতো বলে জানা গেছে।

    গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পরিদর্শক জীবন বড়ুয়া বাদী হয়ে মাদক আইনে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের হয়েছে বলেও জানান তিনি।

    এফএস

    Loading…